Morshed Alom – APK BAZAR https://apkbazzar.com Mon, 22 Dec 2025 17:50:48 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.9 নিকলী হাওর ভ্রমণ গাইড ২০২৬: ঢাকার খুব কাছেই জলরাশির গ্রাম https://apkbazzar.com/archives/308 https://apkbazzar.com/archives/308#respond Mon, 22 Dec 2025 17:50:48 +0000 https://apkbazzar.com/?p=308 Read more

]]>
কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর বর্তমানে বাইকার এবং একদিনের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বচ্ছ জলরাশি, পানির মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সুন্দর রাস্তা এবং খোলামেলা পরিবেশের জন্য এটি এখন “ভাইরাল” টুরিস্ট স্পট। ২০২৬ সালে রাস্তাঘাটের উন্নয়নের ফলে ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে আসা সম্ভব।

কেন নিকলী হাওর যাবেন? যান্ত্রিক জীবন থেকে একদিনের ছুটি নিতে চাইলে নিকলী সেরা অপশন। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো নিকলী বেড়িবাঁধের রাস্তা। দুই পাশে পানি আর মাঝখানে পিচ ঢালাই রাস্তা দিয়ে হাঁটা বা রিকশায় ঘোরার অনুভূতি অসাধারণ। বিশেষ করে বর্ষাকালে এর রূপ বহুগুণ বেড়ে যায়।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

নিকলী যাওয়া এখন অনেক সহজ। বিশেষ করে যারা বাইক রাইড পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি স্বপ্নের রাস্তা।

১. ট্রেন ভ্রমণ: ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য কমলাপুর থেকে ‘এগারোসিন্ধুর প্রভাতী’ বা ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেন রয়েছে। ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জ শহরে বা গচিহাটা স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সিএনজি বা অটোতে করে সরাসরি নিকলী বেড়িবাঁধে যাওয়া যায়। সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।

২. বাইক বা বাস: ঢাকা থেকে বাইকে গেলে ভৈরব বা কাপাসিয়া রুট দিয়ে যাওয়া যায়। রাস্তার কন্ডিশন ২০২৬ সালে বেশ ভালো, তাই লং ড্রাইভের জন্য এটি সেরা। বাসে যেতে চাইলে গোলাপবাগ বা মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জগামী বাসে (অনন্যা বা যাতায়াত পরিবহন) উঠে কটিয়াদী বা কিশোরগঞ্জ নেমে সিএনজিতে নিকলী যেতে হবে।

কোথায় থাকবেন? নিকলী মূলত ডে-ট্রিপের (Day Trip) জন্য জনপ্রিয়। তবে আপনি যদি রাতে থাকতে চান, তবে এখন হাওরের পাড়ে বেশ কিছু আধুনিক কটেজ ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে।

  • চেয়ারম্যানের বাড়ি/গেস্ট হাউজ: থাকার জন্য বেশ ভালো ব্যবস্থা।

  • হোটেল উজানভাটি: কিশোরগঞ্জ শহরের ভালো মানের হোটেল।

  • ক্যাম্পিং: হাওরের মাঝে ছাতিয়ান চরে তাবু টানিয়ে ক্যাম্পিং করার সুযোগ রয়েছে, যা তরুণদের খুব প্রিয়।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নিকলী বেড়িবাঁধ: সূর্যাস্ত দেখার এবং আড্ডা দেওয়ার মূল জায়গা।

  • ছাতিয়ান চর: পানির মাঝখানে ভাসমান জঙ্গল ও গ্রাম। নৌকায় করে এখানে ঘুরতে যাওয়া যায়।

  • অষ্টগ্রামের মিঠামইন রোড: নিকলী থেকে একটু দূরে হলেও, হাওরের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া এই রাস্তাটি “অল ওয়েদার রোড” নামে পরিচিত এবং দেখতে অবিশ্বাস্য সুন্দর।

ভ্রমণ টিপস: নিকলী ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল (জুলাই-অক্টোবর)। তখন পানি থৈ থৈ করে। নৌকা ভাড়া করার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট আছে কিনা দেখে নেবেন এবং দরদাম করে নেবেন।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/308/feed 0
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ গাইড ২০২৬: হাউসবোটে জলজ জীবনের স্বাদ https://apkbazzar.com/archives/289 https://apkbazzar.com/archives/289#respond Wed, 03 Dec 2025 10:06:33 +0000 https://apkbazzar.com/?p=289 Read more

]]>
বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর হলো জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এক বিশাল জলাভূমি। বর্ষাকালে এটি সাগরের মতো রূপ ধারণ করে, আর শীতে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখর থাকে। ২০২৬ সালে হাউসবোট কালচার বা নৌকায় রাত্রিযাপনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এখন পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে।

কেন টাঙ্গুয়ার হাওর যাবেন? টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের মূল আকর্ষণ হলো বিলাসবহুল হাউসবোট। কাঠের তৈরি সুন্দর এই বোটগুলোতে শুয়ে শুয়ে হাওরের বুকে জোছনা দেখা বা বৃষ্টির শব্দ শোনার অনুভূতি একদমই আলাদা। দূরের মেঘালয় পাহাড়ের দৃশ্য এবং স্বচ্ছ নীল জলের জাদুকরী রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবে। শহরের যান্ত্রিকতা ভুলে ২-১ দিন জলের ওপর ভেসে থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ বা টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার রাস্তা এখন অনেক উন্নত।

১. সরাসরি বাস: ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য এখন প্রচুর ভালো মানের এসি ও নন-এসি বাস রয়েছে। এনা, শ্যামলী বা মামুন এন্টারপ্রাইজের বাসগুলো সায়েদাবাদ বা মহাখালী থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের উন্নয়নের ফলে এখন মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে সুনামগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়।

২. লোকাল ট্রান্সপোর্ট (হাওর পর্যন্ত): সুনামগঞ্জ শহর থেকে লেগুনা বা সিএনজি রিজার্ভ করে তাহিরপুর ঘাটে যেতে হয়। রাস্তা ভালো হওয়ায় এতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। তাহিরপুর ঘাট থেকেই মূলত হাউসবোটগুলো যাত্রা শুরু করে।

৩. ট্রেন ও কানেক্টিং রোড: যারা ট্রেনে যেতে চান, তারা ঢাকা থেকে সিলেটে ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বাসে বা প্রাইভেট কারে সুনামগঞ্জ যেতে পারেন। যদিও সরাসরি বাস সার্ভিসটিই সময় বাঁচানোর জন্য এখন বেশি জনপ্রিয়।

কোথায় থাকবেন? এখানে থাকার ব্যবস্থাই হলো ভ্রমণের প্রধান রোমাঞ্চ।

  • হাউসবোট (Houseboat): টাঙ্গুয়ার হাওরে এখন ফাইভ-স্টার মানের সুবিধা সম্পন্ন হাউসবোট পাওয়া যায়। এসি রুম, অ্যাটাচড বাথরুম এবং প্রিমিয়াম খাবারের ব্যবস্থা থাকে এসব বোটে।
  • বাজেট বোট: বন্ধুদের সাথে কম খরচে ঘুরতে চাইলে সাধারণ কাঠের নৌকাও ভাড়া করা যায়, যেখানে ঢালাও বিছানায় থাকার ব্যবস্থা থাকে।
  • রিসোর্ট: হাওরের মাঝে কিছু ছোট রিসোর্ট থাকলেও, পর্যটকরা মূলত বোটে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ওয়াচ টাওয়ার: হাওরের মাঝখানে স্বচ্ছ পানিতে গোসল করার সেরা জায়গা।
  • নীলাদ্রি লেক (শহীদ সিরাজ লেক): বাংলার কাশ্মীর খ্যাত, নীল পানি আর ছোট টিলার অপূর্ব দৃশ্য।
  • শিমুল বাগান: বসন্তকালে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) লাল শিমুল ফুলে পুরো বাগান ছেয়ে যায়।
  • জাদুকাটা নদী ও বারিক্কা টিলা: ভারতের মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা অপূর্ব নদী।

ভ্রমণ টিপস: টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল (জুন থেকে সেপ্টেম্বর)। শীতে পানি কমে যায়, তবে তখন পাখি দেখার জন্য যাওয়া যায়। হাউসবোট বুকিং অন্তত ১৫-২০ দিন আগে দেওয়া জরুরি, কারণ ছুটির দিনে বোট পাওয়া খুব কঠিন। হাওরের পানিতে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার না করে পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করুন।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/289/feed 0
সুন্দরবন ভ্রমণ গাইড ২০২৬: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের রোমাঞ্চ https://apkbazzar.com/archives/287 https://apkbazzar.com/archives/287#respond Wed, 03 Dec 2025 10:04:51 +0000 https://apkbazzar.com/?p=287 Read more

]]>
বাংলাদেশের গর্ব এবং প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি হলো সুন্দরবন। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল এবং শ্বাসমূলীয় বনের রহস্যময় পরিবেশ পর্যটকদের সবসময়ই টানে। ২০২৬ সালে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে ঢাকা থেকে সুন্দরবন যাওয়া এখন আর দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার নয়, বরং কয়েক ঘণ্টার স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ।

কেন সুন্দরবন যাবেন? সুন্দরবন ভ্রমণ মানেই শুধুই জঙ্গল দেখা নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ লাইফস্টাইল ট্যুর। এখানে আপনাকে জাহাজে বা বোটে রাত কাটাতে হয়, যা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বনের নিস্তব্ধতা, হরিণের পাল, বানরের চঞ্চলতা এবং ভাগ্য ভালো হলে বাঘের দেখা পাওয়া—সব মিলিয়ে এটি একটি থ্রিলিং প্যাকেজ।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে সুন্দরবন যাওয়ার জন্য মোংলা বা খুলনা পৌঁছানো এখন খুবই সহজ।

১. সরাসরি বাস (পদ্মা সেতু হয়ে): পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে খুলনা বা মোংলা যাওয়া এখন মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার পথ। সায়েদাবাদ বা গুলিস্তান থেকে হানিফ, এনা, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বা ফাল্গুনী পরিবহনের এসি বাসগুলো সরাসরি মোংলা বন্দরে নামিয়ে দেয়। আগে যেখানে সারাদিন বা সারারাত লাগত, এখন সকালে রওনা দিলে দুপুরেই আপনি সুন্দরবনের গেটওয়েতে পৌঁছে যাবেন।

২. ট্রেন ভ্রমণ (মোংলা রেল সংযোগ): ২০২৬ সালে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ট্রেন এক নতুন দিগন্ত। ঢাকা থেকে সরাসরি খুলনা বা নবনির্মিত মোংলা রেললাইন দিয়ে ট্রেনে করে আপনি বন্দরের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ বা ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রা নিরাপদ এবং আরামদায়ক।

ভ্রমণ পদ্ধতি ও থাকা: সুন্দরবন ভ্রমণ সাধারণত প্যাকেজ ট্যুর হিসেবেই হয়। মোংলা বা খুলনা ঘাট থেকে বিভিন্ন মানের টুরিস্ট ভ্যাসেল বা জাহাজ ছাড়ে।

  • জাহাজে থাকা: সুন্দরবন ভ্রমণে থাকার মূল মজাটাই হলো জাহাজে। আধুনিক জাহাজগুলোতে এসি কেবিন, ভালো মানের খাবার এবং গাইড থাকে। ৩ দিন ২ রাতের প্যাকেজে বনের গহীনে ঘুরে বেড়ানো এবং জাহাজে রাত্রিযাপন এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি।
  • ইকো-রিসোর্ট: যারা জাহাজে থাকতে চান না, তারা মোংলার কাছে বা সুন্দরবনের সীমান্তে গড়ে ওঠা ইকো-রিসোর্টগুলোতে থাকতে পারেন এবং দিনে দিনে করমজল বা হারবারিয়া ঘুরে আসতে পারেন।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • করমজল: বনের শুরুতে অবস্থিত, এখানে ওয়াচ টাওয়ার, কুমির প্রজনন কেন্দ্র এবং কাঠের ট্রেইল আছে।
  • হারবারিয়া: এখানে বাঘের পায়ের ছাপ প্রায়ই দেখা যায়।
  • কটকা ও কচিখালি: বাঘ ও হরিণ দেখার সেরা জায়গা। এখানকার জামতলা সৈকতটি খুবই নিরিবিলি ও সুন্দর।
  • দুবলার চর: শুটকি পল্লী এবং রাস মেলার জন্য বিখ্যাত।

ভ্রমণ টিপস: সুন্দরবন ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। জঙ্গলের ভেতরে উচ্চস্বরে কথা বলা বা গান বাজানো নিষেধ। উজ্জ্বল রঙের পোশাক না পরে জঙ্গলের রঙের সাথে মিশে যায় এমন পোশাক (যেমন- সবুজ, খয়েরি) পরা ভালো। অবশ্যই ভালো কোনো ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/287/feed 0
সিলেট ও শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ গাইড ২০২৬: চায়ের দেশে সবুজের সমারোহ https://apkbazzar.com/archives/285 https://apkbazzar.com/archives/285#respond Wed, 03 Dec 2025 10:02:22 +0000 https://apkbazzar.com/?p=285 Read more

]]>
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হলো সবুজের এক অবিশ্বাস্য ক্যানভাস। মাইলের পর মাইল চা বাগান, স্বচ্ছ জলের নদী আর সোয়াম্প ফরেস্টের জন্য এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০২৬ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়ন এবং ট্রেন যাতায়াতের সুবিধার কারণে এখানকার ভ্রমণ এখন অনেক বেশি আরামদায়ক।

কেন সিলেট ও শ্রীমঙ্গল যাবেন? চোখ জুড়ানো সবুজ দেখতে চাইলে শ্রীমঙ্গলের বিকল্প নেই। দেশের সবথেকে নামকরা চা বাগান এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এখানেই। অন্যদিকে সিলেটে রয়েছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, বিছনাকান্দি এবং জাফলং-এর মতো পাথর-জলের মিতালী। বর্ষায় এখানকার রূপ হয় সজীব, আর শীতে হয় কুয়াশাঘেরা রহস্যময়।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে সিলেট বা শ্রীমঙ্গল যাওয়া খুবই সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী।

১. ট্রেন ভ্রমণ (সবচেয়ে জনপ্রিয়): ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ট্রেনের জানালা দিয়ে লাউয়াছড়া বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কমলাপুর থেকে ‘পারাবত’, ‘জয়ন্তিকা’, ‘উপবন’ বা ‘কালনী এক্সপ্রেস’ নিয়মিত চলাচল করে। শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে ৪.৫ থেকে ৫ ঘণ্টা, আর সিলেট শহরে পৌঁছাতে লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। এটি নিরাপদ এবং পরিবারের জন্য সেরা অপশন।

২. বাস ভ্রমণ: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সিক্স লেনে উন্নীত হওয়ার ফলে বাসে যাতায়াত এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত। গ্রিন লাইন, লন্ডন এক্সপ্রেস, এনা বা শ্যামলী পরিবহনের লাক্সারি এসি বাসগুলো মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এখন ঝাঁকুনিবিহীন আরামদায়ক যাত্রা উপভোগ করা যায়।

৩. আকাশপথ: সময় বাঁচাতে চাইলে ঢাকা থেকে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটে ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো যায়। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে।

কোথায় থাকবেন? এখানে থাকার ব্যবস্থা এখন বিশ্বমানের।

  • লাক্সারি রিসোর্ট: শ্রীমঙ্গলে ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট’ বা হবিগঞ্জের ‘দ্য প্যালেস’ রিসোর্ট বিলাসিতার জন্য সেরা।
  • ইকো-রিসোর্ট: প্রকৃতির মাঝে থাকতে চাইলে শ্রীমঙ্গলে অনেক ইকো-কটেজ ও রিসোর্ট আছে, যেমন- বালিশিরা বা নভেম ইকো রিসোর্ট।
  • শহরের হোটেল: সিলেট শহরে রোজ ভিউ বা হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ডের মতো ভালো মানের হোটেল রয়েছে।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • শ্রীমঙ্গল: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, চা বাগান, সাত রঙের চা (নীলকণ্ঠ কেবিন), মাধবপুর লেক।
  • সিলেট: রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (জলে ভাসমান বন), বিছনাকান্দি ও জাফলং (পাথর ও স্বচ্ছ জল), শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার।
  • ভোলাগঞ্জ: সাদা পাথর এলাকা।

ভ্রমণ টিপস: বর্ষাকাল (জুন-সেপ্টেম্বর) রাতারগুল ও বিছনাকান্দি ভ্রমণের সেরা সময়, কারণ তখন পানিতে টলমল করে। আর চা বাগান ও জঙ্গল সাফারির জন্য শীতকাল আরামদায়ক। বনের ভেতরে জোঁক থেকে সাবধান থাকবেন এবং কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলবেন না।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/285/feed 0
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড ২০২৬: কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড়ের মিতালী https://apkbazzar.com/archives/283 https://apkbazzar.com/archives/283#respond Wed, 03 Dec 2025 10:00:02 +0000 https://apkbazzar.com/?p=283 Read more

]]>
বাংলাদেশের “লেক সিটি” বা হ্রদের শহর হিসেবে পরিচিত রাঙ্গামাটি। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা বিশাল কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি যেকোনো পর্যটকের মন ভালো করে দিতে বাধ্য। ২০২৬ সালে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের ফলে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ এখন অনেক বেশি গোছানো এবং আনন্দদায়ক।

কেন রাঙ্গামাটি যাবেন? রাঙ্গামাটির প্রধান আকর্ষণ হলো কাপ্তাই লেক। শান্ত লেকের বুকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, দুই পাশের উঁচু পাহাড় দেখা এবং বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রিজে হাঁটার অভিজ্ঞতা অনন্য। বর্তমানে কায়াকিং এবং হাউসবোটে থাকার সুযোগ তৈরি হওয়ায় তরুণদের কাছেও এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়া বেশ সহজ এবং আরামদায়ক।

১. সরাসরি বাস: ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন বিলাসবহুল এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস রয়েছে। ডলফিন, শ্যামলী, হানিফ বা এস.আলম পরিবহনের বাসগুলো প্রতিদিন সকালে ও রাতে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে যখন বাস শহরে প্রবেশ করে, সেই দৃশ্যটি চমৎকার।

২. ট্রেন ও বাস/কার কম্বিনেশন: ট্রেনে যেতে চাইলে প্রথমে ঢাকা থেকে ‘সোনার বাংলা’ বা ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’-এ চট্টগ্রাম স্টেশনে নামতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল বা অক্সিজেন মোড় থেকে বাসে করে রাঙ্গামাটি যাওয়া যায়। তবে আরামদায়ক যাত্রার জন্য চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে রেন্ট-এ-কার বা রিজার্ভ ট্যাক্সি নিয়ে সরাসরি রাঙ্গামাটি চলে যাওয়া এখন বেশ জনপ্রিয়। চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি যেতে সময় লাগে ২ থেকে ২.৫ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন? রাঙ্গামাটিতে লেকের পাড়ে থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি চমৎকার সব ব্যবস্থা আছে।

  • পর্যটন মোটেল: সরকারি এই মোটেল এলাকা থেকেই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা যায়। এর অবস্থান ও ভিউ সবথেকে সুন্দর।
  • পলওয়েল পার্ক ও কটেজ: বর্তমানে রাঙ্গামাটির সেরা এবং আধুনিক রিসোর্ট। পুলিশ পরিচালিত এই পার্কটি অত্যন্ত সাজানো এবং নিরাপদ। লেকের পাড়ে তাদের কটেজগুলো পর্যটকদের প্রিয়।
  • অরণ্যক হলিডে রিসোর্ট: যারা নিরিবিলি এবং প্রকৃতির মাঝে থাকতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ অপশন।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ঝুলন্ত ব্রিজ: রাঙ্গামাটির আইকনিক ল্যান্ডমার্ক।
  • কাপ্তাই লেক বোট রাইডিং: ইঞ্জিন বোট ভাড়া করে লেক ঘুরে দেখা।
  • শুভলং ঝর্ণা: লেক পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের মাঝখানের এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়া এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
  • পলওয়েল পার্ক ও লাভ পয়েন্ট: আধুনিক সব রাইড এবং সুন্দর ভিউ পয়েন্ট।
  • রাজবন বিহার: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তীর্থস্থান।

ভ্রমণ টিপস: বোট ভাড়া করার সময় দরদাম করে নেওয়া ভালো, যদিও এখন অনেক জায়গায় নির্ধারিত রেট চার্ট থাকে। দুপুরে কাপ্তাই লেকের তাজা মাছ দিয়ে ভাত খাওয়া রাঙ্গামাটি ভ্রমণের অন্যতম সেরা অংশ। বর্ষায় ঝর্ণার রূপ বাড়ে, আর শীতে লেকের শান্ত রূপ মন কাড়ে।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/283/feed 0
বান্দরবান ভ্রমণ গাইড ২০২৬: পাহাড় ও রোমাঞ্চের খোঁজে যাত্রা https://apkbazzar.com/archives/281 https://apkbazzar.com/archives/281#respond Wed, 03 Dec 2025 09:47:46 +0000 https://apkbazzar.com/?p=281 Read more

]]>
বাংলাদেশের পাহাড়, ঝর্ণা আর মেঘের এক অবিশ্বাস্য মিলনমেলা হলো বান্দরবান। দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলো এই জেলাতেই অবস্থিত। আপনি যদি ২০২৬ সালে একটু রোমাঞ্চকর এবং চ্যালেঞ্জিং ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে বান্দরবান আপনার তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত।

কেন বান্দরবান যাবেন? বান্দরবান মানেই অ্যাডভেঞ্চার। এখানে আপনি মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে পারেন নীলগিরিতে, আবার আকাশ ছোঁয়া দোলনায় দুলতে পারেন নীলাচলে। বগা লেকের রহস্যময় সৌন্দর্য আর নাফাখুমের মতো জলপ্রপাতের বুনো রূপ দেখার জন্য বান্দরবান সেরা। এখানকার আদিবাসী সংস্কৃতি এবং জীবনধারা আপনাকে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করবে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার জন্য বাসই সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম, তবে ট্রেনের ব্যবহারও বেড়েছে।

১. সরাসরি বাস: ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার জন্য সরাসরি এসি এবং নন-এসি বাস সার্ভিস রয়েছে। শ্যামলী, হানিফ, সেন্টমার্টিন পরিবহন বা দেশ ট্রাভেলসের বাসগুলো আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে। ঢাকা থেকে বাসে যেতে সময় লাগে প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা।

২. ট্রেন ও বাস কম্বিনেশন: যারা ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করেন, তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ‘সোনার বাংলা’ বা ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’-এ করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে ‘পূরবী’ বা ‘পূর্বাণী’ বাসে করে ২ ঘণ্টার মধ্যে বান্দরবান পৌঁছানো যায়। এটি অনেকের কাছে বেশ আরামদায়ক মনে হয়।

ভ্রমণ বাহন (অভ্যন্তরীণ): বান্দরবান শহরে পৌঁছে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ‘চান্দের গাড়ি’ (ফোর-হুইল ড্রাইভ জিপ) ভাড়া করতে হবে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় এই গাড়িতে চড়া ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

কোথায় থাকবেন? বান্দরবানে থাকার জন্য এখন বিশ্বমানের রিসোর্ট রয়েছে।

  • লাক্সারি: পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ‘সাইরু হিল রিসোর্ট’ এখন পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য।
  • আর্মি রিসোর্ট: নীলগিরি রিসোর্ট (সেনাবাহিনী পরিচালিত) মেঘের রাজ্যে থাকার সেরা জায়গা, তবে অনেক আগে বুকিং দিতে হয়।
  • শহরের হোটেল: বান্দরবান শহরেই হোটেল নাইট হেভেন বা হিল ভিউ-এর মতো ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায় যা বেশ সাশ্রয়ী।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নীলগিরি: বাংলার দার্জিলিং খ্যাত, যেখানে মেঘ হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়।
  • নীলাচল: সূর্যাস্ত দেখার জন্য এবং আকাশ ছোঁয়া দোলনার জন্য বিখ্যাত।
  • বগা লেক: পাহাড়ের অনেক উঁচুতে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি রহস্যময় এক হ্রদ।
  • নাফাখুম ও অমিয়াখুম: জলপ্রপাত দেখতে হলে ট্রেকিং করে এখানে যেতে হয়।
  • স্বর্ণ মন্দির: বুদ্ধ ধাতু জাদি বা গোল্ডেন টেম্পল।

ভ্রমণ টিপস: বান্দরবানের অনেক গহীন স্পটে যেতে হলে স্থানীয় গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। পাহাড়ি রাস্তায় জিপে চড়ার সময় সতর্ক থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, তাই আগে থেকেই প্রস্তুুতি নিয়ে রাখা ভালো।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/281/feed 0
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইড ২০২৬: মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার গল্প https://apkbazzar.com/archives/279 https://apkbazzar.com/archives/279#respond Wed, 03 Dec 2025 09:44:22 +0000 https://apkbazzar.com/?p=279 Read more

]]>
বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও সাজেক ভ্যালি মূলত খাগড়াছড়ি দিয়ে যাতায়াতের জন্য বিখ্যাত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই উপত্যকাকে বলা হয় “মেঘের রাজ্য”। ২০২৬ সালে এসেও সাজেকের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি, বরং যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে।

কেন সাজেক যাবেন? সাজেকের মূল আকর্ষণ হলো মেঘ। এখানে পাহাড়ের চূড়ায় কটেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আপনি মেঘকে নিজের নিচে ভাসতে দেখবেন। খুব ভোরে বা বিকেলে মেঘের দল আপনাকে ছুঁয়ে যাবে—এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কংক্রিটের শহর ছেড়ে প্রকৃতির একদম কাছাকাছি কয়েকটা দিন কাটাতে সাজেক অদ্বিতীয়।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

সাজেক যাওয়ার পথটি একটু রোমাঞ্চকর, যা এই ভ্রমণের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়।

১. ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি (বাস): সাজেক যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় যেতে হবে। ২০২৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উন্নয়নের ফলে এখন খুব কম সময়েই খাগড়াছড়ি পৌঁছানো যায়। শান্তি পরিবহন, শ্যামলী, হানিফ বা সেন্টমার্টিন হুন্দাই-এর মতো বিলাসবহুল এসি/নন-এসি বাসগুলো রাতে ও দিনে নিয়মিত চলাচল করে। সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২. খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক (চাঁদের গাড়ি): খাগড়াছড়ি শহরে নেমে আপনাকে ‘চাঁদের গাড়ি’ (বিশেষ এক ধরণের জিপ) ভাড়া করতে হবে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে এই জিপ ভ্রমণ সাজেক যাত্রার অন্যতম সেরা অংশ। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী নির্ধারিত সময়ে এসকর্ট দিয়ে পর্যটকদের নিয়ে যায়, যা ভ্রমণকে ১০০% নিরাপদ করে তোলে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ২.৫ থেকে ৩ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন? সাজেকে থাকার প্রধান আকর্ষণ হলো পাহাড়ের কিনারে তৈরি বাঁশ ও কাঠের কটেজ। মেঘ মাচাং, মেঘপুঞ্জি, বা রুংরাং কটেজগুলো পর্যটকদের খুব পছন্দের। তবে এখন বেশ কিছু আধুনিক রিসোর্টও হয়েছে যেখানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা থাকে। রুম থেকেই মেঘের আসা-যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কংলাক পাহাড় (সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া, যেখান থেকে পুরো ভ্যালি দেখা যায়)।
  • রুইলুই পাড়া (যেখানে মূল রিসোর্টগুলো অবস্থিত)।
  • স্টোন গার্ডেন ও হ্যালিপ্যাড (বিকেল কাটানোর ও ছবি তোলার সেরা জায়গা)।
  • আলুটিলা গুহা ও রিছাং ঝর্ণা (ফেরার পথে খাগড়াছড়িতে দেখে নিতে পারেন)।

ভ্রমণ টিপস: সাজেকে পানি খুব মূল্যবান, তাই ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন। পাহাড়ি পথে জিপের ছাদে ওঠা এখন নিষিদ্ধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। ছুটির দিনে কটেজ পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে, তাই অন্তত ১ মাস আগে বুকিং দেওয়া জরুরি।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/279/feed 0
কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড ২০২৬: একই সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার গন্তব্য https://apkbazzar.com/archives/277 https://apkbazzar.com/archives/277#respond Wed, 03 Dec 2025 09:42:51 +0000 https://apkbazzar.com/?p=277 Read more

]]>
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক কুয়াকাটা, যা “সাগর কন্যা” নামেই পরিচিত। এটি দেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে দাঁড়িয়ে আপনি একই জায়গায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত—দুটোই দেখতে পাবেন। ২০২৬ সালে পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ সুফলের কারণে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়া এখন ঘরের কাছে যাওয়ার মতোই সহজ।

কেন কুয়াকাটা যাবেন? কুয়াকাটা শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, এখানে আছে রাখাইনদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের ছোঁয়া। কক্সবাজারের তুলনায় এখানকার পরিবেশ অনেক বেশি শান্ত ও পরিচ্ছন্ন। যারা হৈ-হুল্লোড় পছন্দ করেন না, বরং প্রকৃতির কাছাকাছি নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য কুয়াকাটা সেরা পছন্দ।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা অবিশ্বাস্যভাবে উন্নত হয়েছে।

১. সরাসরি বাস (পদ্মা সেতু হয়ে): পদ্মা সেতু এবং পায়রা সেতু (লেবুখালী ব্রিজ) চালু হওয়ার ফলে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়া এখন মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার ব্যপার। সায়েদাবাদ বা গাবতলী থেকে সাকুরা, গ্রিন লাইন, হানিফ বা শ্যামলী পরিবহনের আধুনিক এসি বাসগুলো আপনাকে সরাসরি কুয়াকাটা সৈকতের কাছে নামিয়ে দেবে। ফেরি পারাপারের কোনো ঝামেলা নেই, তাই জার্নি হয় একদম স্মুথ।

২. লঞ্চ ভ্রমণ: যারা নদীপথ পছন্দ করেন, তারা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী বা কলাপাড়াগামী বিলাসবহুল লঞ্চে যেতে পারেন। লঞ্চে রাত কাটিয়ে সকালে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। তবে সড়কপথ দ্রুত হওয়ায় এখন বাসের চাহিদাই বেশি।

কোথায় থাকবেন? কুয়াকাটায় এখন পর্যটকদের জন্য আধুনিক মানের হোটেল ও মোটেল গড়ে উঠেছে। সৈকতের খুব কাছেই হোটেল গ্রেভার ইন, সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস বা কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেলের মতো ফাইভ-স্টার ও থ্রি-স্টার মানের থাকার জায়গা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেলও বেশ ভালো ও নিরাপদ।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ও বিচ।
  • ঝাউবন ও গঙ্গামতির চর (সূর্যোদয় দেখার জন্য)।
  • লাল কাঁকড়ার চর ও লেবুর চর (ফ্রেশ মাছ ও কাঁকড়া ভাজা খাওয়ার জন্য)।
  • মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির (বড় বৌদ্ধ মূর্তি)।
  • শুটকি পল্লী।

ভ্রমণ টিপস: কুয়াকাটা ভ্রমণের সেরা সময় হলো শীতকাল। তবে মোটরবাইক ভাড়া করে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘোরার মজাই আলাদা। লেবুর চরে গিয়ে সূর্যাস্তের সময় ফ্রেশ কাঁকড়া ফ্রাই খেতে ভুলবেন না।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/277/feed 0
সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড ২০২৬: নীল জলের প্রবাল দ্বীপে যাত্রা https://apkbazzar.com/archives/275 https://apkbazzar.com/archives/275#respond Wed, 03 Dec 2025 09:41:29 +0000 https://apkbazzar.com/?p=275 Read more

]]>
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, যা নারিকেল জিঞ্জিরা নামেই বেশি পরিচিত। চারিদিকে নীল সমুদ্র, প্রবাল পাথর আর সারি সারি নারিকেল গাছ—সব মিলিয়ে এটি যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক ছবি। ২০২৬ সালে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ঢাকা থেকে এই দ্বীপে যাওয়া এখন আগের চেয়ে অনেক কম ক্লান্তিকর।

কেন সেন্টমার্টিন যাবেন? স্বচ্ছ নীল পানি এবং সমুদ্রের তলদেশের প্রবাল দেখার জন্য সেন্টমার্টিন অদ্বিতীয়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে নির্জনতা উপভোগ করতে চাইলে এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। এছাড়া ছেঁড়া দ্বীপে গিয়ে স্বচ্ছ পানিতে পাথরের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা ভোলার মতো নয়।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে সেন্টমার্টিন যাওয়ার রুটটিতে বড় পরিবর্তন এসেছে ট্রেনের কারণে।

১. ট্রেন ও বাস কম্বিনেশন (সবচেয়ে আরামদায়ক): এখন আর ঢাকা থেকে দীর্ঘ সময় বাসে বসে টেকনাফ যাওয়ার ধকল সইতে হয় না। প্রথমে ঢাকা থেকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ বা আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেনে করে কক্সবাজার চলে যান। কক্সবাজার নেমে সেখান থেকে বাস বা রিজার্ভ গাড়িতে করে টেকনাফ জেটি ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১.৫ থেকে ২ ঘণ্টা।

২. সরাসরি বাস: যারা বাসে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফের বাসে উঠতে পারেন। শ্যামলী, সেন্টমার্টিন পরিবহন বা রিল্যাক্স পরিবহনের এসি/নন-এসি বাসগুলো রাতে ছেড়ে সকালে টেকনাফ নামিয়ে দেয়।

৩. জাহাজ ভ্রমণ: টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য কেয়ারি সিন্দবাদ, আটলান্টিক বা এমভি বার আউলিয়ার মতো নিরাপদ জাহাজগুলো চলাচল করে। টেকনাফ থেকে জাহাজে দ্বীপে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ২.৫ ঘণ্টা। এই সময়টায় নাফ নদী এবং মিয়ানমার সীমান্তের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

কোথায় থাকবেন? সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য এখন প্রচুর ইকো-রিসোর্ট এবং কটেজ গড়ে উঠেছে। সমুদ্রের একদম পাড়ে থাকতে চাইলে পশ্চিম বিচের কটেজগুলো সেরা। ব্লু মেরিন, সী প্রবাল বা ড্রিম নাইট রিসোর্টের মতো জায়গাগুলো পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে। বাজেটের মধ্যে থাকতে চাইলে বাজারের কাছাকাছি সাধারণ মানের হোটেলও পাওয়া যায়।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • পশ্চিম বিচ (সূর্যাস্ত দেখার জন্য সেরা)।
  • ছেঁড়া দ্বীপ (দ্বীপের শেষ প্রান্ত)।
  • দ্বীপের বাজার এলাকা (তাজা সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ খাওয়ার জন্য)।
  • হুমায়ুন আহমেদ এর বাড়ি (সমুদ্র বিলাস)।

ভ্রমণ টিপস: সেন্টমার্টিন মূলত শীতকালীন গন্তব্য (নভেম্বর থেকে মার্চ)। অন্য সময় সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে। পরিবেশ রক্ষায় দ্বীপে প্লাস্টিক বা পলিথিন ফেলা থেকে বিরত থাকা এখন খুব কড়াকড়িভাবে মানা হয়।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/275/feed 0
কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড ২০২৬: ঢাকা থেকে সহজেই যেভাবে যাবেন https://apkbazzar.com/archives/272 https://apkbazzar.com/archives/272#respond Wed, 03 Dec 2025 09:36:22 +0000 https://apkbazzar.com/?p=272 Read more

]]>
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র। আপনি যদি ২০২৬ সালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে এখন যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক ও সহজ। সমুদ্রের গর্জন, মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য আর সূর্যাস্ত দেখার জন্য কক্সবাজারের কোনো বিকল্প নেই।

কেন কক্সবাজার যাবেন? শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত নয়, কক্সবাজারে এখন দেখার মতো অনেক কিছু আছে। লাবনী ও সুগন্ধা বিচের ভিড় এড়িয়ে ইনানী বা হিমছড়ির শান্ত পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভ দিয়ে লং ড্রাইভের অভিজ্ঞতা এবং প্যারাসেইলিং-এর মতো রোমাঞ্চকর এক্টিভিটি আপনার ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখবে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় (২০২৬ আপডেট)

২০২৬ সালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ট্রেন

১. ট্রেন ভ্রমণ: ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য এখন একাধিক বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ বা ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’-এ উঠলে মাত্র ৮-৯ ঘণ্টার মধ্যে আপনি কক্সবাজারের আইকনিক ঝিনুক আকৃতির রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যাবেন। এটি এখন সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন।

২. বাস ভ্রমণ: যারা বাসে যেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য ঢাকা থেকে এসি ও নন-এসি লাক্সারি বাস সার্ভিস রয়েছে। গ্রিন লাইন, শ্যামলী, বা হানিফ এন্টারপ্রাইজের স্লিপার বা বিজনেস ক্লাস বাসগুলো এখন যাত্রীদের সর্বোচ্চ আরাম নিশ্চিত করে। সময় লাগে সাধারণত ১০-১২ ঘণ্টা।

৩. আকাশপথ: দ্রুততম সময়ে পৌঁছাতে চাইলে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ফ্লাইট নিতে পারেন। মাত্র ৪৫-৫০ মিনিটে আপনি পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।

কোথায় থাকবেন? কক্সবাজারে এখন সব বাজেটের হোটেল ও রিসোর্ট আছে। বিলাসিতার জন্য ফাইভ-স্টার হোটেল যেমন সায়মন বিচ রিসোর্ট বা ওশান প্যারাডাইস বেছে নিতে পারেন। আর বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য কলাতলী রোডের পাশে প্রচুর মানসম্মত হোটেল রয়েছে।

জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী বিচ।
  • হিমছড়ি পাহাড় ও ঝর্ণা।
  • পাথুরে বিচ ইনানী।
  • মেরিন ড্রাইভ রোড।
  • রামু বৌদ্ধ মন্দির।

ভ্রমণ টিপস: হোটেল বুকিং এবং ট্রেনের টিকিট অন্তত ১৫-২০ দিন আগে কনফার্ম করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে।

]]>
https://apkbazzar.com/archives/272/feed 0